আপনার শিশু কি রাতে ঘুমের মধ্যে উল্টে গিয়ে পেটে ভর দিয়ে ঘুমায়? আপনি ওকে চিত বা কাত করে দিলেও ও কি আবার আগের পজিশনে মানে উপুড় হয়ে পেটের ওপর ঘুমায়? চিন্তার কিছু নেই!
সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS)-এর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য শিশুকে তার বিছানায় চিত করে শোয়ানো উচিৎ। কিন্তু আপনার সন্তান যদি রাতে ঘুমের মধ্যে উল্টে যায় ও উপুড় হয়ে ঘুমোয়? এটি কি নিরাপদ?
আপনার ছোট্ট শিশুটির কখন পেটের উপর ঘুমানো ঠিক হবে এবং সে রাতে উল্টে গেলে কী করবেন সে সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে জানবেন।
কখন শিশু উপুড় হয়ে ঘুমাতে পারে
শিশুর জন্মের পরে সোজাভাবে অর্থাৎ তাদের পিঠে ভর দিয়ে ঘুমানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশু যদি রাতে ঘুমের মধ্যে নিজে নিজে উল্টে যায় এবং ঘুমায়, তবে তাকে সেইভাবেই ঘুমাতে দিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের সাডেন ইনফ্যান্ট ডেট সিনড্রোম (SIDS)-এর ঝুঁকি কমে যায়। সাডেন ইনফ্যান্ট ডেটথ সিনড্রোম বলতে মূলত ঘুমের মধ্যে শিশুর হঠাৎ করে মারা যাওয়া কে বোঝায়।
শিশু উপুড় হয়ে ঘুমালে কী করব
যেভাবেই ঘুমাক না কেন, ঘুমের মধ্যে শিশুকে কখনোই বিরক্ত করা উচিত না ।একটি শিশু সাধারণত ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে উল্টানো শিখে যায়। একবার উল্টানো শিখলে তাকে সবসময় সোজা রাখা কঠিন।যদি শিশু উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করে, তবে রাতে ঘুমের মধ্যে উল্টে গেলেও আসলে কিছু করার নেই।
যেসব শিশুরা খুব সহজেই নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তারা ঘুমের মধ্যে উল্টে গেলেও সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS) এর ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যদি আপনার শিশু উল্টানো শিখে যায়, তবে তাকে এখন কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা (সোয়াডেল) বন্ধ করতে হবে।
শিশুকে পেটের উপর ঘুমাতে দেওয়া কি ঠিক
শিশুকে যখনই আপনি নিজে শোয়াবেন, তখন অবশ্যই চিত করে শােয়াবেন। সে নিজে নিজে উল্টাতে পারা না পর্যন্ত আপনি অন্যভাবে শোয়াবেন না।
বাচ্চাদের বিছানায় চিত করে শোয়ানো একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। উপুড় হয়ে ঘুমানো বাচ্চাদের থেকে চিত হয়ে ঘুমানো বাচ্চারা বেশি সুস্থ থাকে। ওদের জ্বর, নাক বন্ধ এবং কানের সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে।
তবে সে নিজে যদি ঘুমের মধ্যে অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে সেটা বদলাতে যাবেন না। শুধু খেয়াল রাখবেন শিশুর শ্বাস নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা কিংবা সে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কিনা।
অনেক শিশুই বালিশের নিচে মাথা গুঁজে কিংবা মায়ের কোলে নাক গুঁজে ঘুমায়। এসব ক্ষেত্রেও একই কথাই প্রযোজ্য। ওর শ্বাস নিতে সমস্যা না হলে আর কোনো অসুবিধাই নেই!
কখন পেটের উপর ঘুমালেও শ্বাস বন্ধ হবার ঝুঁকি থাকে না
আপনার শিশু যদি ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে উল্টানো শিখে যায় তবে সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোমের (SIDS) সবথেকে বেশি ঝুঁকির সময়টা পার হয়ে যায় বলে ধরা হয়।
তবুও শিশুকে প্রথম ১ বছর পর্যন্ত বিছানায় চিত করে ঘুম পাড়ানোই ভালো।
উপুড় হয়ে ঘুমানো কি কোন চিন্তার বিষয়
শিশু রাতে উপুড় হয়ে ঘুমালো কিনা এই চিন্তায় নিজের ঘুম হারাম করার কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব বাচ্চারা সহজেই উল্টাতে পারে তাদের সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS) এর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
এর কারণ হতে পারে যেসব শিশুরা সহজেই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাদের পর্যাপ্ত শক্তি এবং গতিশীলতা তৈরি হয়েছে। যেমন একটি শিশু যদি নিজে থেকে উল্টাতে পারে তাহলে ধরে নেয়া যায় যে সে আবার নিজে থেকেই চিত হতে পারব। তাই শিশু যদি ঘুমের মধ্যে কোন সমস্যা বুঝতে পারে তাহলে নিজেকে রক্ষা করারও ক্ষমতা রাখে।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার মনে রাখতে হবে যে, আপনি যদি শিশুকে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখার অভ্যাস করেন, (সাধারণত ০-৩ মাসে এভাবে রাখা হয়) তাহলে শিশু উল্টানো শিখতে শুরু করার সময়েই কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো বন্ধ করতে হবে।
শিশু যদি উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করে তাহলে কী করা উচিত
কিছু শিশু উপর হয়ে ঘুমালে বেশি স্বস্তি বোধ করে এবং বিছানার সাথে শরীর লেগে থাকার কারণে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। শিশুকে যখনই আপনি নিজে শোয়াবেন, তখন অবশ্যই চিত করে শােয়াবেন। সে নিজে নিজে উল্টাতে পারা না পর্যন্ত আপনি অন্যভাবে শোয়াবেন না।
তবে সে নিজে যদি ঘুমের মধ্যে অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে সেটা বদলাতে যাবেন না। শুধু খেয়াল রাখবেন শিশুর শ্বাস নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা কিংবা সে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কিনা।
শিশুকে রাতে ভালভাবে ঘুমোতে দেওয়ার জন্য আপনি যেগুলি করতে পারেন তার মধ্যে একটি হল সোয়াডেলিং। এটি একটি পুরনো পদ্ধতি, যার মাধ্যমে শিশুদের (০-৩ মাসে) হাত-পায়ের নড়াচড়া কমানোর জন্য তাদের কম্বল বা কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়। শিশু যদি ঘন ঘন চমকে উঠে তাহলেও তাকে সোয়াডলিং করে রাখতে পারেন।এই কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখার ফলে শিশু মায়ের পেটের ভিতরে থাকার অনুভূতি পায়। তখন সে বেশি নিরাপদ বোধ করে। যখন সে উল্টানো শিখতে শুরু করবে তখন সোয়াডলিং বন্ধ করে দিতে হবে।
এছাড়াও আপনার শিশুকে ঘুমানোর সময় মুখে একটি প্যাসিফায়ার বা চুষনি দিতে পারেন যেটা শিশুকে শান্ত থাকতে সাহায্য করে। এই পদক্ষেপগুলি শিশুকে আরো বেশি আরাম দিবে এবং তার ঘুমটাও ভাল হবে।
একা ঘুমানোর চেয়ে মায়ের সাথে বা আর কারো সাথে ঘুমাতে শিশু বেশি নিরাপদ বোধ করে। মায়ের ঘ্রাণ ও উষ্ণতা শিশুকে নিরাপদ বোধ করায়। তাই মা বা কেউ যদি সাথে থাকা সম্ভব না হয়, মায়ের গায়ের কাপড় শিশুর গায়ে জড়িয়ে দিন, ও মায়ের কাছে থাকার অনুভূতি পাবে।
কিছু শিশু উপর হয়ে ঘুমালে বেশি স্বস্তি বোধ করে এবং বিছানার সাথে শরীর লেগে থাকার কারণে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। শিশুকে যখনই আপনি নিজে শোয়াবেন, তখন অবশ্যই চিত করে শােয়াবেন। সে নিজে নিজে উল্টাতে পারা না পর্যন্ত আপনি অন্যভাবে শোয়াবেন না।
তবে সে নিজে যদি ঘুমের মধ্যে অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলে সেটা বদলাতে যাবেন না। শুধু খেয়াল রাখবেন শিশুর শ্বাস নিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা কিংবা সে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে কিনা।
শিশুকে রাতে ভালভাবে ঘুমোতে দেওয়ার জন্য আপনি যেগুলি করতে পারেন তার মধ্যে একটি হল সোয়াডেলিং। এটি একটি পুরনো পদ্ধতি, যার মাধ্যমে শিশুদের (০-৩ মাসে) হাত-পায়ের নড়াচড়া কমানোর জন্য তাদের কম্বল বা কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়। শিশু যদি ঘন ঘন চমকে উঠে তাহলেও তাকে সোয়াডলিং করে রাখতে পারেন।এই কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখার ফলে শিশু মায়ের পেটের ভিতরে থাকার অনুভূতি পায়। তখন সে বেশি নিরাপদ বোধ করে। যখন সে উল্টানো শিখতে শুরু করবে তখন সোয়াডলিং বন্ধ করে দিতে হবে।
এছাড়াও আপনার শিশুকে ঘুমানোর সময় মুখে একটি প্যাসিফায়ার বা চুষনি দিতে পারেন যেটা শিশুকে শান্ত থাকতে সাহায্য করে। এই পদক্ষেপগুলি শিশুকে আরো বেশি আরাম দিবে এবং তার ঘুমটাও ভাল হবে।
একা ঘুমানোর চেয়ে মায়ের সাথে বা আর কারো সাথে ঘুমাতে শিশু বেশি নিরাপদ বোধ করে। মায়ের ঘ্রাণ ও উষ্ণতা শিশুকে নিরাপদ বোধ করায়। তাই মা বা কেউ যদি সাথে থাকা সম্ভব না হয়, মায়ের গায়ের কাপড় শিশুর গায়ে জড়িয়ে দিন, ও মায়ের কাছে থাকার অনুভূতি পাবে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত
আপনার শিশু পেটের উপর শুয়ে ঘুমাতে পছন্দ করতেই পারে, এটা নিয়ে এত চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। আপনাকে শুধু শিশুর নিরাপদ ঘুমের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
যদি আপনার শিশুর ঘুমানোর ভঙ্গি দেখে আপনার স্বাভাবিক না লাগে,বা সে যদি সবসময় উপুড় হয়ে থাকে, কখনোই চিত হয়ে ঘুমাতে না চায় তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
নতুন বাবা মা হিসেবে আপনার শিশুকে যখন মাঝ রাতে উপুড় হয়ে ঘুমাতে দেখবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই অনেক ঘাবড়ে যাবেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি শিশুর ঘুমানোর জায়গাটা নিরাপদ রাখছেন এবং নিরাপদ ভাবে ঘুমানোর বাকি টিপসগুলো অনুসরণ করছেন, আপনি SIDS এর ঝুঁকি কমানোর সব কাজ গুলো ঠিকঠাক ভাবে করেছেন।
এ লেখাটি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পিডিয়াট্রিকস (AAP) এর গাইডলাইনের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট লিংক: https://www.aap.org
ধন্যবাদ