বাচ্চাকে ডিম কিভাবে খাওয়ানো ভালো

এ আর্টিকেলে যা থাকছে

কেউ বলে বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানো খুব ভালো। কেউ বলে খুব ক্ষতিকর। কারো ডিম খেলে ডায়রিয়া হয়, কারো আবার অ‍্যালার্জি হয়। বাচ্চাকে কোন বয়স থেকে ডিম দেওয়া উচিত? যদি ডিম খেতে ভালােবাসে কোনো ক্ষতি আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এখানে আলোচনা।

সবার আগে জানা দরকার কিভাবে ডিম খেলে ক্ষতি হয়। ডিম বেশ পুষ্টিকর খাবার তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে না খেলে বাচ্চার ক্ষতির কারণ হতে পারে।

কিভাবে বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানো ক্ষতিকর

বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানোর জন্য ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করতে হবে। আধা সেদ্ধ বা অল্প সেদ্ধ ডিম বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবেনা।কারণ ডিমের মধ্যে ক্ষতিকর ব‍্যাকটেরিয়া (স্যালমোনেলা) থাকে।যা অন্ত্রে খাদ্যজনিত অসুস্থতা তৈরি করতে পারে।কিন্তু ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় সেদ্ধ করলে এই ব‍্যাকটেরিয়া আর থাকে না।ব‍্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য ডিম সেদ্ধ করতে সময় একটু বেশি লাগে। 

কোন বয়স থেকে বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানো উচিত

ছয় মাস বয়স মানে সলিড শুরু করার সাথে সাথেই বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানো শুরু করা যায়। কিন্তু ডিমের কারণে বাচ্চার অ্যালার্জি হতে পারে।তাই খাওয়ানোর আগে অবশ্যই অ‍্যালার্জির লক্ষণগুলি জেনে রাখা ভালো। ডিমের সাদা ও হলুদ অংশ খুব ভালো করে সেদ্ধ করতে হবে। কারণ কোনো কোনো বাচ্চার অল্প একটু ডিম খেলেও বড় ধরনের সমস্যা হয়। 

ডিম হাই অ‍্যালার্জি ফুড। তাই এমিলকে প্রথম ডিম দিয়েছিলাম আট মাসে। এই লেখা যখন লিখছি তখন ২১ মাস, এখনো সে শুধু ডিম খায় না। অন‍্যভাবে (কেক, টোস্ট, স‍্যুপ) অ‍ন‍্য খাবারের সাথে খায় কিন্তু শুধু ডিম সে জিভে বুঝতে পারলেই থু করে ফেলে দেয়। 🙁

ডিম কি বাচ্চার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার

হ্যাঁ, ডিমে প্রচুর প্রোটিন থাকে।থাকে অ্যামিনো অ‍্যাসিড। প্রয়োজনীয় চর্বি, গুড কোলেস্টেরল এবং DHA(ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড) থাকে। এসব উপাদান শরীরে কোষ তৈরিতে সহায়তা করে, মস্তিষ্কের বিকাশের ঘটায় এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহা‍য‍্য করে।

ডিম ভিটামিন বি ও ফোলেট (ফলিক এসিড) সমৃদ্ধ খাবার।এছাড়াও এতে থাকে সেলেনিয়াম,জিংক এবং আয়োডিন। মাংসের তুলনায় কম হলেও অল্প পরিমাণে আয়রনও থাকে।

আরো পড়ুন: বাচ্চার কোন বয়সে কতটুকু আয়রন দরকার

ডিমের কুসুমে ভিটামিন ডি থাকে।এটি হাড় তৈরি ও মজবুত করতে সহায়তা করে।ফার্মের মুরগির ডিমের তুলনায় যেসব মুরগি বাইরে খোলা পরিবেশে বড় হয় সেসব মুরগির ডিমে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে।

যারা বাংলাদেশের বাইরে থাকেন তারা জানেন যে এখানে হাজার ধরনের ডিম পাওয়া যায়। প্রতিটি ডিমের গায়ে লেবেল থাকে। কিন্তু লেবেল দেখে ডিমের আসল অবস্থা বোঝা যায়না।ডিম সঠিক পদ্ধতিতে,পরিবেশ বান্ধব উপায়ে উৎপাদিত কিনা, পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কিনা তা কোনো নির্দেশক বা লেবেল দেখে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। 

কিছু কিছু লেবেল দেখে মনে হতে পারে যে ডিমের মান বেশ ভালো। 

বিদেশে হাজার রকমের ডিম পাওয়া যায়

যেমন Cage-free (মুরগি কিছুটা খোলা পরিবেশে পালন করা হয়েছে,ফার্মের মুরগির মত গাদাগাদি করে নয়), 

free -range( একটু বেশি খোলামেলা পরিবেশে পালন করা হয়েছে, যেভাবে বাংলাদেশের গৃহস্থ বাড়িতে মুরগি পালা হয়) বা 

no hormones or antibiotics added (কোনো হরমোন বা এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়নি)।

কিন্তু এগুলো লেখা থাকা মানেই যে ডিম ভালো হবে তা না।আর নিশ্চিতভাবে এটাও বোঝা যায়না যে মুরগি সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা হয়েছে কিনা।প‍্যাকেটে যতকিছুই লেখা থাকুক না কেন ভেতরের ডিম যে আসলে কেমন তা পুরোপুরি বোঝার কোনো উপায় নেই।

ডিম ভালো আছে কিনা কিভাবে বুঝবো

ডিম ভালো আছে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে পানি দিয়ে ডিম পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।একটা গ্লাস পানি দিয়ে ভরতে হবে।এরপর ডিম ছেড়ে দিতে হবে গ্লাসের মধ্যে। যদি পুরোপুরি ডুবে যায় তবে ডিম খাওয়ার উপযোগী এবং ভালো। যদি ডোবার পর সোজা হয়ে থাকে, গ্লাসের তলায় মিশে না যায় তবে হয়তো নষ্ট হওয়া শুরু হয়েছে কিন্তু এখনো খাওয়া যাবে। কিন্তু ডিম যদি পুরোপুরি ভেসে থাকে তাহলে তা নষ্ট হয়ে গেছে, এটা খাওয়া যাবে না।

কখন বাচ্চাকে আধা সেদ্ধ বা অল্প সেদ্ধ ডিম খাওয়ানো যাবে

বাবা- মা বুঝবেন যে বাচ্চাকে ডিম কখন কেমন করে খাওয়াতে হবে।ডিম খেয়ে বাচ্চা অসুস্থ হতে পারে কিনা সেই হিসেব করেই বাচ্চাকে আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়াতে হবে।কারণ আধা সেদ্ধ বা অল্প সেদ্ধ ডিম কখন খাওয়াতে হবে এ ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন নেই।যেসব বাচ্চার বয়স ৫ বছরের নিচে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তারা সহজেই ডিমের ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্ত হতে পারে।তাই এসব দিক বিবেচনা করে বাচ্চাকে আধা সেদ্ধ বা অল্প সেদ্ধ ডিম না খাওয়ানোই ভালো।

কোনো কোনো ধর্মে বা এলাকায় এরকম রীতিনীতি আছে যে বাচ্চাকে অর্ধ সেদ্ধ ডিম খাওয়াতেই হয়।এইসব রীতিনীতি থাকলেও বাচ্চা অসুস্থ হতে পারে কিনা সে হিসেব করতে হবে। 

কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করে ঝুঁকি কমানো যায়।যেমন:

  • পাস্তুরাইজেশন(খাদ্য জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া) করা ডিম এবং ডিম দিয়ে তৈরি খাবার কিনতে হবে।
  • যেসব মুরগিকে সেলমোনেলার টিকা দেয়া হয়েছে সেসব মুরগির ডিম কিনতে হবে (যেমন যুক্তরাজ্যের Lion Mark Egg)
  • ময়লা এবং ভাঙা ডিম খাওয়া যাবেনা।ডিমে যদি ময়লা থাকে,তাহলে না ধুয়ে ব্রাশ বা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা ভালো।
  • ডিম সবসময় ফ্রিজে রেখে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা অথবা এরও নিচের তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
  • ডিম যদি ভাঙার পর হাতে বা চামচে এবং অন্যান্য জিনিসপত্রে লেগে যায় তবে সাবান এবং পানি দিয়ে সেসব জিনিস ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ডিম অথবা ডিম দিয়ে তৈরি খাবার একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টার বেশি খাবার রেখে দেয়া যাবেনা।যদি রুমের তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি হয় তবে এমন অবস্থায় এক ঘণ্টার মধ্যে খাবার ফ্রিজে রাখতে হবে, বা ফেলে দিতে হবে কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে।
  • যেসব খাবার আগে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা হয়নি যেমন ব্রেড (পাউরুটি) এবং মাফিন(কেক) এগুলো রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পাঁচদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।এই তাপমাত্রা মূলত ৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা এর থেকে কিছু কম।
  • ফ্রিজে রাখা ডিম দিয়ে তৈরি কোনো খাবার ৩-৪ দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে।
ডিম থেকে কি অ‍্যালার্জি হতে পারে

কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে বাচ্চার অ্যালার্জি হয়। ডিমও এমন একটা খাবার।

ধারণা করা হয় অন্তত ২% শিশুর ডিমে অ্যালার্জি আছে।কিন্তু সুখবর হলো ৭০% বাচ্চা তাদের ডিমের অ্যালার্জি সময়ের সাথে সাথে কাটিয়ে ওঠে।একসময় মানুষের প্রচলিত ধারণা ছিলো যে দুই বছরের আগে ডিম খাওয়ানো যাবেনা।কিন্তু এখন আমরা জানি ডিম দিতে দেরি করার কোনো কারণই নেই।উপরন্তু যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে ডিম খাওয়ানো শুরু করতে হবে।

এমনকি এখন এটাও প্রমাণিত যে, যত তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে ডিম খাওয়ানো হবে ততো তাড়াতাড়ি সে অ্যালার্জি কাটিয়ে উঠবে।প্রথমবার ডিম খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পূর্ণ এবং ভালোভাবে সেদ্ধ করা ডিম দিতে হবে,আর অল্প পরিমাণে খাওয়াতে হবে।সেই সাথে ডিমে বাচ্চার প্রথম কামড়ের পর খুব ভালোভাবে নজর রেখে দেখতে হবে কোনো অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা হয় কিনা।যদি ৫-১০ মিনিটের মধ্যে কোনো সমস্যা না হয় তবে শিশুকে স্বাভাববিকভাবে বাকি ডিমটুকু খাইয়ে ফেলতে হবে।পরে যখন ডিম খাওয়ানো হবে তখন ধীরে ধীরে ডিমের পরিমাণও বাড়াতে হবে।

ডিম খাওয়া শুরু করার পর, প্রতি সপ্তাহে একটা ভালোমতো সেদ্ধ করা ডিমের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ খাওয়াতে হবে।এভাবে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়ে যাবে।
কিন্তু কিছু কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা যায় এক কামড় ডিম খেলেও ভয়াবহ অ্যালার্জি হয়
যেমন অতিরিক্ত চঞ্চল ভাব, ঘুম ঘুম ভাব,জল ভরা চোখ,হাইভস,গায়ে গোটা ওঠা. চুলকানি,মুখমণ্ডল,গাল ফুলে ওঠা,হুইজিং(শ্বাস নেয়ার সময় বুকের মধ্যে শব্দ হওয়া),কাশি হওয়া,বমি হওয়া,ডায়রিয়া এবং পাকস্থলীতে সমস্যা হওয়া।

ডিম খাওয়ার পর যদি অল্প অ্যালার্জি হয় বা গুরুতর কিছু না হয় তবে এই অবস্থাতেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।কিন্তু সমস্যা যদি গুরুতর মনে হয় যেমন শ্বাস করতে কষ্ট হওয়া বা ঘুম ঘুম ভাব, তবে দেরি না করে জরুরী বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে সাহায্য চাইতে হবে। শুধু মাত্র লাল গোটা উঠলেই যে অ্যালার্জির সমস্যা হয়েছে এমন না।যেসব বাচ্চার ত্বকে মেলানিন বেশি বা গায়ের রং একটু কালো সেসব বাচ্চার শরীরে অ্যালার্জির লক্ষণ নাও দেখে যেতে পারে,

যেমন হাইভস,খোসপাঁচড়া, হঠাৎ করে মুখ, ঘাড়,এবং বুকের উপরিভাগ লাল হয়ে যাওয়া।

কারো কারো ক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে খাবারে অ্যালার্জি হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস আছে,কিন্তু এরকম হলেও ডিম খাওয়ানো বন্ধ করা যাবেনা।তবে বাচ্চার যদি একজিমা(এক প্রকার চর্মরোগ,বিখাউজ নামে পরিচিত) থাকে বা অন্য কোনো খাবারে আগে থেকেই অ্যালার্জি থাকে তবে ডিম খেলে এই অ্যালার্জি বাড়তে পারে।যদি এরকম সমস্যা বাচ্চার থাকে তবে ডাক্তারের সাথে আলাপ করতে হবে।ডাক্তার এরকম পরিস্থিতিতে সাধারণ কিছু পরীক্ষা দিয়ে থাকে।যেমন ডাক্তার তার উপস্থিতিতে খাবার খাইয়ে অ্যালার্জি হয় কিনা তা পরীক্ষা করে থাকে।যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাচ্চার ডিমে অ্যালার্জি আছে তবে শিশু অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেক বাচ্চা আছে যারা সরাসরি ডিম খেতে পারেনা তবে বেক (ডিম দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা খাবার যেমন কেক, পুডিং) করা ডিম খেতে পারে।বেক করা ডিম খাওয়া উচিত হবে কিনা তাও একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ বলে দিতে পারেন।

ডিম খাওয়ার কারণে এক ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় যেটা FPIES নামে পরিচিত।এই সমস্যা মূলত অ্যালার্জি জাতীয় খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয়।বার বার বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া হওয়া এই রোগের লক্ষণ।যদি সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে বড় ধরনের পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে।কিন্তু সৌভাগ্যবশত বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা কেটে যায়।সাধারণত ৪-৫ বছর বয়সে এই সমস্যা পুরোপুরি চলে যায়।

ডিম কি গলায় আটকে যেতে পারে

না। সঠিক সময়ে,সঠিক নিয়মে ডিম খাওয়ালে ডিম থেকে সমস্যা হয় না বললেই চলে।যদিও, যেকোনো খাবার, যে কারো গলায় আটকে যেতে পারে।এই ঝুঁকি কমাতে বয়সের দিকটা খেয়াল রেখে খাবার তৈরি করে দিতে হবে।ডিম জিহ্বায় বা মুখের ভিতরের উপরিভাগে (মুখের মধ্যে যেকোনো জায়গায়) লেগে যেতে পারে, এতে গলা আটকে যেতে পারে।তাই এরকম অবস্থা হওয়ার পর বা আগে থেকেই খোলা কাপে পানি খাওয়াতে হবে যাতে মুখের কোথাও খাবার লেগে থাকলে তা পেটে চলে যায়। আর সবসময়ের মতো খাবার খাওয়ার উপযুক্ত এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় সবসময় কাছে থাকতে হবে। কোনো সমস্যা হলে যাতে প্রতিরোধ করা যায় সে ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে। কোনো অসুবিধা হলে যেন সাথে সাথে সমস্যা দূর করা যায়।

যাদের বাচ্চা ডিম খেতে চায় না

আমার বাচ্চার মত যাদের বাচ্চা ডিম খেতে চায় না, তাদের জন‍্য আমার কয়েকটি টিপস হলো–

১. পাউরুটির সাথে ডিম, দুধ, দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে ফ্রেঞ্চ টোস্ট বানিয়ে দিন। এভাবে এমিল ডিম খায়।

২. ডিম দিয়ে কেক বা পিঠা বানিয়ে দিন। এভাবে ডিম খেলে ক্ষতি নেই। 

৩. ডিম দিয়ে পুডিং তৈরি করে দিয়ে দেখতে পারেন। তবে পুডিং তৈরিতে অনেক চিনি লাগে। খুব বেশি চিনি বাচ্চার না খাওয়াই ভালো। 

৪. বাচ্চাকে ডিমের খোসা ছাড়াতে দিন। খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে, খেলতে খেলতে কোনো একদিন ভুলে খেতেও পারে। (আমার বাচ্চা একদিনও খায় নি)

৫. ভাত/বিরিয়ানি/খিচুড়ি বা অন‍্য খাবারের সাথে অল্প একটু কুসুম মিশিয়ে খাইয়ে দেখতে পারেন। আমি এভাবে মাঝে মাঝে দেই। 

 

 

  1. রেফারেন্স
    Academy of Nutrition and Dietetics, Do’s and Don’ts for Baby’s First Foods Opens a new window, March 2020. 
  2. American Academy of Pediatrics, Starting Solid Foods Opens a new window, October 2020.
  3. American Academy of Pediatrics, Food Allergy Reactions Opens a new window, November 2009.
  4. American Academy of Pediatrics, Common Food Allergens Opens a new window, August 2020. 
  5. American Academy of Pediatrics, Food Allergies in Children Opens a new window, November 2018. 
  6. American Academy of Pediatrics, Food Allergy Opens a new window, 2020.
  7. National Institutes of Health, Office of Dietary Supplements, Vitamin D Opens a new window, October 2020. 
  8. Allergy, Asthma & Clinical Immunology, Early Introduction of Foods to Prevent Food Allergy Opens a new window, September 2018.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *